রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় ফণী আতঙ্কে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার কঁচানদী সংলগ্ন ১৯নং চরখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে রাতযাপন করলেন এক নবদম্পতি এবং তাদের সঙ্গে থাকা ৬০ জন বরযাত্রী।শনিবার সকালে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে এমনটি দেখা যায়। এসময় স্থানীয় আরো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত আড়াইশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেন।এছাড়া সুপার সাইক্লোন ফণীর কারণে এ এলাকা বিদ্যুতবিহীন ছিল দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা।
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া বর পিরোজপুর জেলা সদরে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুর থেকে একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসযোগে প্রায় ৬০ জন বরযাত্রী নিয়ে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী গ্রামের বাদুরা নামক স্থানে বিবাহ সম্পন্ন করে পিরোজপুরে ফিরতে সন্ধ্যা নেমে যায়। ফেরার পথে চরখালী ফেরিঘাটে এলে ফেরি কর্তৃপক্ষ নদী উত্তাল থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
প্রবল ঝড়োহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে ফেরিঘাট সংলগ্ন চরখালী-মঠবাড়িয়া সড়ক সংলগ্ন ১৯নং চরখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারে রাত্রীযাপন করেন। এসময় তারা ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় আড়াই শতাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করে।
দমুলা, তেলিখালী সাইক্লোন সেল্টারসহ উপজেলার ৫৩টি সাইক্লোন সেল্টার ছাড়াও পৌর শহরের বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দোতালায় স্থানীয় প্রায় শতাধিক নিম্নআয়ের মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করে।
এদিকে শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষ তাদের গন্তব্যে যেতে শুরু করেছে।
ঝড়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের সামনে, উপজেলা পরিষদ সামনের সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপারী, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে, ডালপালা ভেঙে পড়লে উপজেলা প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি ও স্থানীয়দের সহায়তায় তা দ্রুত সরিয়ে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।তবে কলাবাগান, পেঁপে, পান বরজসহ মৌসুমী কৃষির অনেকটা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, কোথাও কোন হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, সিডর-আইলার মতো ঝড় মোকাবিলার পর থেকে সরকার, স্থানীয় প্রশাসনের ব্যাপক প্রচারণা ও সাধারণ মানুষের সতর্কতায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর আগে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা বেশি ক্ষতির শিকার হতো। তারাও আবহাওয়া সংকেত পেয়ে মাছ শিকারে যায়নি।
ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম পরিবর্তন ডটকমকে জানান, নবাগত উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম দুর্যোগ মোকাবিলায় সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া জনসাধারণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ১৬শ কেজি চিড়া, ২শ কেজি গুড়, ১শ বান্ডিল মোমবাতি এবং গ্যাসলাইট বিতরণ করেছেন।
Leave a Reply